যারা ইন্টারনেট মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস শেষ করেছেন

Photo

আলেমা

তানজিনা আখতার

পিতার নামঃ ইউসুফ মোল্লা

SID: DWFA202324010

মাতার নামঃ রাবেয়া বেগম

বয়সঃ ১৮ বছর

ঠিকানাঃ সাইনবোর্ড, ঢাকা, বাংলাদেশ

পাশের সন ২০২৪

পেশাঃ ছাত্রী

অনুভূতিঃ السلام عليكم ورحمة الله وبركاته শিক্ষাঙ্গন বিদ্যাকানুন মোহতি আবেগ প্রফুল্ল জীবন মিশে কত মধুর স্মৃতি। প্রানের- তালীমুল কোরআন ওয়াস সুন্নাহ ইন্টারনেট মাদ্রাসা আমি তুমায় ভালো বাসি। সম্মানিত উস্তাযগন!! আমরা ছিলাম অতি নগন্য সঠিক ভুল চিনতে পরিনি।  আপনাদের পরশে হলাম ধন্য। শিখলাম আমরা ইলমে ওহী। আপনাদের প্রচেষ্টায় পেয়েছি আদর্শ জীবন। আদর্শ মানব মানবী। পেয়েছি একটু শাসন আর অনেকটুকু আশা। সবসময়ই দোয়া চাই। যেন ইলম শিখে সঠিক মতো মেনে চলতি পারি। আল্লাহ কবুল করুন আমীন وفقك الله تعلى

Photo

আলেমা

লামিয়া ইয়াসমিন

পিতার নামঃ মোঃ আলী আজম ভূইয়া

SID: DWMA202324012

মাতার নামঃ শামীমা আজম

বয়সঃ ২৮ বছর

ঠিকানাঃ মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ

পাশের সন ২০২৪

পেশাঃ গৃহিণী

Photo

আলেম

মোহাম্মদ ইয়াসিন

পিতার নামঃ মোঃ কামরুজ্জামান

SID: DWMA202324007

মাতার নামঃ ফেরদৌসী আক্তার

বয়সঃ ৩০ বছর

ঠিকানাঃ মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ

পাশের সন ২০২৪

পেশাঃ ছাত্র

Photo

আলেমা

রোখসানা সুলতানা

পিতার নামঃ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম

SID: DWFA202324006

মাতার নামঃ মাহমুদা বিলকিস

বয়সঃ ৩৫ বছর

ঠিকানাঃ নওগাঁ, ঢাকা, বাংলাদেশ

পাশের সন ২০২৪

পেশাঃ ছাত্রী

অনুভূতিঃ আমার এখন কোন দুনিয়াবি পেশা নেই আলহামদুলিল্লাহ! একজন ত্বলেবাহ এটাই একমাত্র পরিচয়। بسم الله الرحمن الرحيم الحمد لله والصلاه والسلام على رسول الله اما بعد... মাদ্রাসার শুরু থেকে শেষ অবধি অনুভূতি লিখার কথা যখন উস্তায বলেছেন, তখন দুই চোখ দিয়ে ঝর ঝর করে পানি পড়ছে। মনের গহীনে লুকায়িত প্রতিটা ভালোলাগা খারাপ লাগার মুহূর্ত উকি দিচ্ছে। এই কথাগুলো এক শব্দে বর্ণনা করার মত না। আমরা যারা জেনারেল থেকে দ্বীনের পথে এসেছি, তারা সব চাইলাম আর পাইলাম ,এমনটা নয়। এই প্রতিটা নফসের আলাদা আলাদা কান্নার রঙ আছে।দ্বীনের পথে আসার সাথে সাথে এক সাথে হেঁটেছি প্রিয় মাদ্রাসার পথচলায়। আমরা যারা অনলাইনে বেজড দ্বীনী তারা সকলে আসলে আহলে হাদীস, সালাফী,হাম্বলী মাযহাবের হুজুরদের মতাদর্শের পাল্লায় পড়ি প্রথমে ।এরপর সাত ঘাটের কিনায় এসে সঠিক খুজেঁ পায়।এরমানে এই নয় যে সব মাহযাব ভুল। উস্তায এটা শিখায়নি।সবার ব্যাক্তিগত পছন্দ থাকে।তার প্রেক্ষিতে লিখছি। সেই শুরু থেকে উস্তায একটা কথা বলতেন, এইসব ইখতিলাফ এর মধ্য যাবেন না। ৫ টা বছর সময় দেন আপনি নিজেই বুজবেন্ন আপনাকে কি ফলো করতে হবে। যে আপুর মাধ্যমে মাদ্রাসায় আসা, আপুর নাম পপি ইব্রাহিম আপু,শুকরিয়া জন্য বলা। দ্বীন যখন মাত্র অন্তরের মধ্য এক চিলেত রোদের মত উকি দিল।তকন অনুভুব হতে লাগলো, জানতে হবে,শিখতে হবে। ওই ১০ টা সূরা, ওই টুকু জানা। সব কিছু আপডেট হয়।আমার কোন ইসলামের জ্ঞান নেই।কি করব কি করব? এরপর ফেসবুকের মধ্য ইসলামিক পেজ খুঁজতে লাগলাম।শুরু হল অনলাইন পড়াশুনা।৪/৫ দিন ক্লাস হইল ৭০% কুরআন ল্যাঙ্গুয়েজের। আপু ক্লাসে বললেন একটা মাদ্রাসা তে উনি ভর্তি হয়েছেন। আপুর বলার দেরী আর আমাদের কয়জন সাথে সাথে জিজ্ঞাসা করল,কই! সেই প্রথম আমার শোনা! ‘ইন্টারনেট মাদ্রাসা’ (পরে জানতে পারি,তালিমুল কোরআন ওয়াস সুন্নাহ ইন্টারনেট মাদ্রাসা। চাকরির সুবাদে, পড়াশুনা করতে পারতাম না, বুঝতাম না। বাসের মধ্য বসে বসে পড়তাম। মনে পড়ছে, সেই ফাআলা ফাআলালা গর্দান এর কথা! আমি আরবী থেকে বাংলায় লিখে লিখে মুখস্থ করতাম। প্রথমদিকে যখন কিছুই বুঝতাম না এবং এখনো যখন কিছুই বুঝিনা, তখন আমার প্রাণপ্রিয় উস্তায শুধু একটা কথায় বলতেন, লেগে থাকেন, জমে থাকেন। এরপর দেখেন মা যেমন তার সন্তানকে ধরে ধরে সব শিখায়, হাঁটা, চলা,বলা_আমাদের উস্তায মুহতারাম আমাদেরকে ঠিক সেইভাবে দ্বীনের পথে চলতে শিখার বুনিয়াদি শিক্ষা দিতে থেকেছেন মায়ের মত। একটা ক্লাস যেটা কিনা পুরা মাদ্রাসার সবার জন্য আবশ্যক,সেটা ইসলাহী মজলিসের ওপর একটা নাম উস্তাযর নসীহত,উস্তাযর আদেশ,উপদেশ। উস্তায এর ছোট ছোট পরামর্শ এই নতুন আলোর জীবন গড়তে কতটা সহায়ক এটা আমাদের মাদ্রাসার সব বাচ্চারা জানে। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে আর নফসের ধোঁকায় পড়ে কতবার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি চলে যাব। প্রতিবারই ওস্তাদের পরামর্শ আবারো নতুন করে শুরু করার প্রেরণা। গতবছর আমার বাবা এর অসুস্থতায় ভেবেছি এই জামাত এত ক্লাস মিস আর পরীক্ষা দিব না। তবুও উস্তায নীচের ক্লাসে দেননি! উস্তাদ জোর দিয়েছেন আর কিভাবে কিভাবে যেন হয়ে গেছ। প্রথম যখন মাদ্রাসাতে ভর্তি এরপর হাজার প্রশ্ন উস্তাযকে করেছি, উস্তায তখন সব কথার উত্তরে শেষ বলতেন অপেক্ষা করার কথা। দাওরাহ হাদীস এসে সব প্রশ্নের উত্তরে আস্তে আস্তে জোট খুলতে শুরু করেছে! মেশকাত জামাতে যখন শারহুল আক্বীদাহ এবং আক্বীদাহ-ত্বহাবী পড়া হইল,তখন আরো প্রশ্নের উত্তর খুলে গেল! আমি ভাবতাম হয়ত মাদ্রাসা তে সীরাত নিয়ে কোন কিতাব নেই। এই ৪ বছরের ছোট এক কিতাব ছাড়া কিছুই পেলাম না! প্রথম যখন বুখারী সানী ক্লাস শুরু হইল,শুধু অবাক হয়ে শুনতাম! হায় কত সীরাতের কিতাব পড়েছি কোর্স করেছি তাও কিতাবুল মাগাযীতে এত ডিটেইলস আর কোথাও পড়িনি। বুখারী আউয়াল ক্লাসের উস্তায মুহতারাম এতটা দরদ দিয়ে দরস দেন, উনি ক্লাসে কতবার কেঁদেছেন,এটা হয়ত আমরা সবাই জানি। দারুল রাশেদের সন্মানিত হযরত মাওলানা লিয়াকত আলী উস্তায এত সরল উদ্দীপ্তমনা ,হাসির ছলে কত কঠিন বিষয় সহজ করে বলেন। কাসেমী উস্তায, সন্ধীপ উস্তায, আমাদের প্রিয় মুসলিম সানি, উস্তায ক্লাসগুলো এতটা প্রাণবন্ত যে ঘন্টার পর ঘন্টা ক্লাসগুলো কখনো কষ্ট দেয় মনে হয়নি। জানি বেয়াদবি করেছি না বুঝে না শুনে,অজান্তে। আর উস্তাদের হক তো বিন্দুমাত্র আদায় করতে পারিনি।তবুও তাদের নসীহত গুলো জীবনের পাথেয়। দেখতে দেখতে চোখের পলকে এই শেষ সময়ে কত কথা যে বলতে মনে চায়। প্রিয় সহপাঠীরা!একসাথে থাকলেই ভাইবোনদের ঝগড়া হয়,আবার মিল হয়।আমরা তেমন আশাকরি দ্বীন শেষে ঘরে ফিরে আসি। কত কেউ তো ছিল ভালো স্টুডেন্ট, জ্ঞানী গুণী মানুষ শুধু,উস্তায এর কথামত শুধু এইটুকু মিলিয়ে দেখি, যে নিজের বুঝে চলবে ,মুরুব্বির পরামর্শ ছাড়া,সে হারিয়ে যায়। হয়ত উস্তায এর দুআ যার জন্য আমরা হয়ত ইলম অর্জনের রাস্তায় নামতে সাহস পাচ্ছি. উস্তায হাজারো ভুল করে ক্ষমার আশায় রইলাম। যেমন করে ইলমের সাথে আছি ,ছিলাম আর যেন থাকতে পারি, মানুষ যেন হতে পারি. তাওয়াক্কুল এবং সবরের সাথে যেন জীবন সাজাতে পারি..

Photo

আলেমা

মাহমুদা হক্ব

পিতার নামঃ মোঃ মোহাম্মদ আলী

SID: DWFA202324009

মাতার নামঃ কোহিনুর বেগম

বয়সঃ ২১ বছর

ঠিকানাঃ মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ

পাশের সন ২০২৪

পেশাঃ ছাত্রী

অনুভূতিঃ এই মাদ্রাসার সন্ধান আমার জীবনে একটি স্বপ্নের মতো ছিলো । কোন একটা সমস্যার কারনে যখন আমার দাওড়া পড়া বন্ধ হয়ে যায় আমি নিজে থেকে ভেঙ্গে পরি.. আমি মনে করেছিলাম হয়তো আমি দাওড়া হাদিসের দরস আর কখনোই করতে পারবো না. রবের কাছে কান্না করা ছাড়া কোন উপায় আমার জানা ছিল না. হয়তো আমাকে আমার রবকবুল করেছেন হাদিসের বরকত ময় দরসের জন্য,। আমার এক বোনের কাছ থেকে এই অনলাইন মাদ্রাসার খোজ পাই.. আমি নিজেও প্রথম ভেবেছিলাম অনলাইন মাদ্রাসা এখানে কেমন আর পড়াশোনা হবে... আসলেই এই মাদ্রাসার সাথে পরিচয় না হলে আমি বুঝতে পারতাম না. অনলাইন ও এমন উত্তম কিছুর পথ দেখায়.. এই মাদ্রাসার সাথে পরিচয় না হলে হয়তো আমার ইলম অর্জন করার রাস্তা টুকু বন্ধ হয়ে যেতো । আসলে এই মাদ্রাসার সাথে কেউ পরিচিত না হলে বুঝতে পারবেনা যে অনলাইন জগতেও এমন একটা ভালো প্রতিষ্ঠান রয়েছে! এই মাদ্রাসার সম্মানিত উস্তাদগনের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা ইলম অর্জন করতে পেরেছি। আমাদের মত জ্ঞান পিপাসিত মেয়েদের জন্য এই মাদ্রাসা একটা স্বপ্নের মত.! এত ভালো এবং এত মর্যাদা সম্পূর্ণ উস্তাদের কাছে দরস করার তৌফিক আমার রব আমাকে দিয়েছেন! আমি জানি না এর শুকরিয়া আমি কিভাবে আদায় করবো! আমি মনে করি আমার ভাগ্য আল্লাহ তাআলা এমন ভালো করেছেন বিধায় এমন সম্মানিত উস্তাদের দরস করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ..!! আলহামদুলিল্লাহ..!! আলহামদুলিল্লাহ..!! আমার অনুভূতি অনুযায়ী অনলাইন মাদ্রাসা সম্পর্কে লিখতে গেলে হয়তো শেষ হবে না... এখানে ইলমের পাশাপাশি আমলের দিকেও কত নজরদারি কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয় আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ..!! আমি আল্লাহ তাআলার কাছে সব সময় এই দোয়া করি এই মাদ্রাসার সম্মানিত উস্তাদগনকে নেক হায়াত দান করুক এবং এই মাদ্রাসাকে আল্লাহ তাআলা যেন কেয়ামত পর্যন্ত ইলম অর্জন ও আমলের জন্য কবুল করেন..!! আমার সম্মানিত উস্তাদগনের কাছে আমার জন্য দোয়ার দরখাস্ত যেন আমি হেদায়েতের পথ ধরে রাখতে পারি এবং ইলম অর্জনের সাথে সর্বদা লেগে থাকতে..!!

Photo

আলেমা

জান্নাতুল ফেরদৌস জারা

পিতার নামঃ নাজমুল হক

SID: 0000000000

মাতার নামঃ হালিমা খাতুন

বয়সঃ ৩০ বছর

ঠিকানাঃ সূত্রাপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ

পাশের সন ২০২৪

পেশাঃ শিক্ষিকা

অনুভূতিঃ এই ইন্টারনেট মাদ্রাসা নিয়ে লিখলে শেষ হবেনা💔 অফলাইন মাদ্রাসাতে মেশকাত জামাত যখন কন্টিনিউ করা আমার জন্য কঠিন হয়ে পড়লো,তখন আমি নানা ভাবে খোঁজ করতে শুরু করলাম অনলাইন ভালো ইনস্টিটিউট আছে কিনা যেখানে কিনা কওমি সিলেবাসে পড়ানো হবে আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালা কিভাবে এই মাদ্রাসার খোঁজ পাইয়ে দিলেন আলহামদুলিল্লাহ যেদিন আমি এখানে রেজিষ্ট্রেশন করি তখন আমার বাচ্চার জ্বর ছিলো ১০৫ ডিগ্রি হাসপাতালে বসে ছেলেকে কোলে নিয়ে বড়ো হুজুরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলাম যেনো আমাকে রেজিষ্ট্রেশন করার সুযোগ টুকু দেন আলহামদুলিল্লাহ সেদিন ই রেজিষ্ট্রেশনে সাকসেস হতে পারি, শুরু হলো এই ইন্টারনেট মাদ্রাসা তে আমার পথ চলা, সকল উস্তাদগন ই এতো যত্ন সহকারে আমাদের জন্য খেদমত দিয়ে গেছেন আলহামদুলিল্লাহ এতো সুন্দর করে আমাদের দরস গুলো নিয়েছেন, আরশের মালিকের কাছে মন থেকে দোয়া করছি আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালা সকল উস্তাদগনদের উত্তম যাজাহ দান করুন আমিন, হাজারো পরিস্থিতিতে বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে একটু চেষ্টা করতাম লেগে থাকার, জানিনা কতোদুর পেরেছি, আরো শিখতে হবে আরো জানতে হবে, ইলম শিক্ষার জন্য আরো পরিশ্রম করতে চাই, ডায়রির নোট গুলো কে সাক্ষী রাখতে চাই, আমার জামাতের সহপাঠী বোন গুলো মাশাল্লাহ যথেষ্ট হেল্পফুল ছিলেন, আল্লাহ আপনাদের কেও উত্তম প্রতিদান দান করুন,, বিদায় সত্যি ই কষ্টের 😪 পরিশেষে এতোটুকু বিনয়ী অনুরোধ সকল উস্তাদগনের কাছে, আমাদের কে আপনাদের দোয়া তে রাখবেন ইনশাআল্লাহ এই মাদ্রাসা ভালোবাসা র একটা জায়গা ছিলো আমার জন্য আলহামদুলিল্লাহ লেখার মাঝে ভুল ত্রুটি হলে আশা করছি সুন্দর ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ইনশাআল্লাহ সবার জন্য শুভকামনা রইলো🍁 জাযাকাল্লাহ খইর ❤

Photo

আলেমা

নূরুন্নাহার

পিতার নামঃ হাফেজ  ওয়ালী উল্লাহ শিকদার

SID: DWFA202324004

মাতার নামঃ শামসুন্নাহার বেগম

বয়সঃ ২৯ বছর

ঠিকানাঃ নরসিংদী, বাংলাদেশ

পাশের সন ২০২৪

পেশাঃ ছাত্রী

অনুভূতিঃ السلام عليكم و رحمة الله و بركاته. نحمده و نصلى على رسوله الكريم اما بعد: আমি ২০০৮ সালে মেশকাত পড়ার পর যখন ফ্যামিলি ক্রাইসিস এর কারণে পড়াশোনা ছুটে গেলো তখন আমি ভেবে ছিলাম হয়তো আমার কোনো দিন দাওরা হাদীস পড়া হবে না। এটা যে আমার জন্য কতটুকু কষ্টদায়ক  ছিলো সেটা লিখে বুঝাতে পারব না। তারপর ১১বছর পর্যন্ত আমি শুধু কেঁদে ছিলাম।  কখনো কাঁদতে কাঁদতে  ঘুমিয়ে যেতাম কখনো মাঝ রাতে উঠে বসে দুই হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতাম। আজ সেই কষ্টের দিনগুলো খুব মনে পড়ছে তাই লিখছি। একদিন আমার ছোটবোন ওর কোনো বান্ধবীর মাধ্যমে ইন্টারনেট মাদ্রাসার সন্ধান পায় এবং আমাকে বলে। প্রথমে আমি ব্যাপারটা উড়িয়ে দিয়েছি। কারণ,  ইন্টারনেটের মাধ্যমেও যে পড়াশোনা করা যায় এই বিষয়টা আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন ছিলো। আমার আব্বুকে বলার পর আব্বুও প্রথমে উড়িয়ে দিলেন। তারপরও ছোট বোনের জোড়াজুড়িতে আর নিজের এই ইন্টারনেট এ কিভাবে পড়ে সেই বিষয়ে জানার আগ্রহ থেকে মাদ্রাসায় যোগাযোগ করলাম এবং এখানে এসে ভর্তি হলাম। কিছুদিন ক্লাস করার পর বুঝলাম, আমার রব আমার কান্নাগুলো উত্তমভাবে কবুল করেছেন। আমি যে কি পরিমাণ খুশি হয়ে ছিলাম!  এমন সুন্দর পরিবেশ, এতো উত্তম  উস্তাদ, ভালো  ক্লাসমেট। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছিলো আমি অনলাইনে নয় সরাসরি কোনো অফলাইনের কোনো মাদ্রাসার ক্লাসে বসে আছি। তারপর আর আমাকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। অদ্যাবধি, এইখানেই পড়ে আছি এবং আমৃত্যু এখানেই থাকতে চাই। আমার রব আমাকে এতো সুন্দরভাবে, এত বড় বড় উস্তাদদের কাছ থেকে দাওরা হাদীসের দরসে বসে ইলম অর্জন করার তৌফিক দিয়েছেন ( সুবহানাল্লাহ) যা আমার জন্য অনেক বড় একটা নেয়ামত। اللهم لك الحمد و لك الشكر اللهم لك الحمد و لك الشكر اللهم لك الحمد و لك الشكر সত্যিই, তালীমুল কোরআন ওয়াস সুন্নাহ ইনটারনেট মাদ্রাসা আমার স্বপ্নের বাস্তবায়ক। আল্লাহ তায়ালা এই মাদ্রাসার মাধ্যমে আমার অসমাপ্ত স্বপ্নটা কবুল করেছেন। আমার উস্তাদগন আমার সহপাঠীবৃন্দ প্রত্যেকে আমার জীবনে এক একটা আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামত। আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই সম্পর্কটা জান্নাত পর্যন্ত নিয়ে যাক। আমিন

Photo

আলেমা

মাকসুদা আক্তার

পিতার নামঃ এম. ডি. সামাদ মিয়া

SID: ???????????????

মাতার নামঃ ?????

বয়সঃ ৩৬ বছর

ঠিকানাঃ ১৬ বি.কে. দাস রোড,ফরাশগঞ্জ, সুত্রাপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ

পাশের সন ২০২৪

পেশাঃ শিক্ষিকা

অনুভূতিঃ অনুভূতি -লিখে শেষ করার মতো নয়। সে এক বিশাল ঘটনা। ইন্টারনেট মাদ্রাসাকে যে অনলাইনে পেলাম এটার পিছনে তো বিশাল এক ঘটনা যেটা বলতে গেলে অনেকটা সময় লেগে যাবে। কিন্তু আমি আবার কোন কিছুই ছোট করে বলতে পারি না। বিবিএ ফাইনাল দিয়ে এসে আমার মনে হল আমি মাদ্রাসাতে পড়বো তারপর থেকে অফলাইনে মাদ্রাসা করছিলাম বিবাহিতদের অফলাইন মাদ্রাসায় পড়ার একটা অসুবিধা আছে তাই এমন কোন মাদ্রাসায় এরকম আশেপাশে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। খোঁজারও প্রায় দুই বছর পরে আমার বাড়ির একদম কাছে একটা মাদ্রাসায় পেয়ে গেলাম খুবই সুন্দর মাদ্রাসা। সেখানে বড় খালাম্মার অনুপ্রেরণায় কয়েক বছর পড়লাম এবং খেদমত করলাম কিন্তু তারপরে আর পারিবারিক কারণে আমার পড়া হলো না এবং তখন থেকেই আমার ভীষন আফসোস ছিল যে আমি কিভাবে মাদ্রাসায় পড়া শেষ করব এবং কোথায় আমি এরকম একটা প্ল্যাটফর্ম পাব যেখানে আমি ঘরে বসেই পড়তে পারব কিন্তু আমি কখনো চিন্তা করতে পারিনি আমার জন্য সামনে এমন এক মাদ্রাসা আছে যেখান থেকে আমি মাদ্রাসার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার স্বপ্নের মঞ্জিল পর্যন্ত আমি যেতে পারব। অনলাইনেই কিছু আপুর মাধ্যমে জানতে পারলাম ইন্টারনেট মাদ্রাসার কথা এবং সেটা ছিল এই মাদ্রাসার দ্বিতীয় ব্যাচ। পরবর্তীতে প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচকে একত্রিত করা হয়েছিল। এ কারণে নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করতেছি যে আমরাই প্রথম ব্যাচ। পারিবারিক নানান জটিলতার কারণেই নানান ব্যস্ততার কারণে মাঝে মাঝে মন করতাম যে হয়তো আমাকে দিয়ে হবে না। এই রাস্তায় অনেকে ঝরে গেছে, অনেকে পরে গেছে অনেক ভালো ভালো মেধাবী স্টুডেন্ট ছিল কিন্তু তারা শেষ করতে পারেনি এটা তাদের হয়তো সারা জীবনের আফসোস থাকবে কিন্তু আমাদের এই আফসোসটা আর থাকবে না ,আমরা যেভাবেই হোক যেমন করি হোক আল্লাহ আমাদেরকে দিয়ে এই পড়ার সফর শেষ করেছে খুব সুন্দর করে আলহামদুলিল্লাহ। যারা পড়তে পারেনি অথচ একসাথে আমরা ছিলাম তাদের জন্য এখনো খুব কষ্ট লাগে। মাদ্রাসার হযরত হাসিবুর রহমান হুজুর আমাদের জন্য আর্শীবাদ। তার অনুপ্রেরণা য় আমরা এগিয়ে এসেছি। উস্তাদদের কথা ,আদেশ আমার কাছে। খুব ই সিরিয়াস ভাবে নেই প্রত্যেক উস্তাদের কথা। হয়তো ব্যস্ততার এই চড়াই উতরাই অবস্থায় কিছু ক্লাস মিস করেছি কিন্তু তারপরও রেকর্ড শুনেছি না শুনেছি এইভাবেই আধাঁআধি চেষ্টা য় এগিয়ে গিয়েছি। কি পড়ার জন্য কত রাত জাগা কত কান্না কত স্মৃতি আমাদের অন্তরে আজীবন থেকে যাবে। মাদ্রাসার অসাধারণ মনোমুগ্ধকর ক্লাস আমাদেরকে পড়ার জন্য উৎসাহিত করে। আমাদের ওস্তাদেরাই সেরা এটা আমি জোর গলায় বলতে পারি, আমার কাছে । দাওরা র বছর আমরা ঘরে বসে শ্রেষ্ঠ উস্তাদের সোহবত পাইছি আলহামদুলিল্লাহ। প্রত্যেক উস্তাদ অতুলনীয়। হযরত মাওলানা লিয়াকত আলী হাফিজাহুল্লাহ উস্তাদ আমাদের গর্ব। হযরত মাওলানা মহিউদ্দীন কাসেমী হাফিজাহুল্লাহ হুজুর প্রতি জামাতে অসাধারন ভাবে নিরলস ক্লাস নিয়েছেন অসাধারণ ভাবে। হযরত তৌহিদুল ইসলাম মিশরী হাফিজাহুল্লাহ হুজুরের নসিহত প্রতি দারসে অতুলনীয়। হযরত আসাদুজ্জামান হাফিজাহুল্লাহ উস্তাদ, হযরত আব্দুল্লাহ সন্দীপ উস্তাদ, হযরত মাওলানা শুয়াইব নাদভী হাফিজাহুল্লাহ সবাই যার যার দারসে অতুলনীয় ছিলেন। তবে কস্ট লাগছে যে কিভাবে বছর শেষ হয়ে গেল দারস শেষ হয়ে গেল। যদি বা পড়ালেখার কোন শেষ নাই আমার মতে এই তো মাত্র শুরু হল কিন্তু তারপরও তো যেকোনো কিছু শুরু থেকে শেষ আছে তাই সাময়িকভাবে হলেও আমাদের এই মাদ্রাসায় শেষ জামাত ও শেষ হয়ে গেল । অনেক অনেক দুআ আমাদের হযরত মাওলানা হাসিবুর রহমান উস্তাদের জন্য যার কঠিন চেষ্টা য় আমরা আজ শেষ সীমানায় পৌছাতে পেরেছি। উস্তাদদের কথা যে' লেগে থাকেন'এটাই মাথায় ছিল। তারমধ্যে বেফাক পরীক্ষা দেওয়া এভাবে পরে। অসাধারণ অনুভূতি। মজার বিষয় অনেকে ভাবে অনলাইন থেকে পড়ে অফলাইনের ছাত্রীদের সাথে কি পারা যাবে না। তাদের পড়া আর আমাদের পড়া কেমন তাতো রেজাল্ট ই বলে দিচ্ছে আর নতুন করে কি বলবো। তবে যেখান থেকে পরীক্ষা দেই তারাও সমাদর করে। প্রশংসা করে তাদের ছাত্রীদের আমার উদাহরণ দেয়।এটা ভালোই লাগে। মেয়েদের ভর্তি করাতে গেছি এক মাদ্রাসায়।আমি চিনি না বড় আপাকে অথচ সে আমাকে চিনে। চার বাচ্চা র মা হয়েও কি করে পড়াশোনা করছি এই মিছাল হয়ে গেছি আলহামদুলিল্লাহ এগুলো কার জন্য। উস্তাদের অনুপ্রেরণা যে আমাকে কি সম্মান এনে দিছে এটা তো লিখে প্রকাশ করা যাবে না। ছাত্রী ছিলাম, আছি থাকবো। আমার আচরণ এ কোন কাজে কস্ট পেয়ে থাকলে এই ছাত্রীকে মাফ করে দিবেন। পড়াশোনা থাকবে চালিয়ে যাবো সারাজীবন। এই মাদ্রাসায় জুড়ে থাকবো। আবার দাওরা ক্লাসে ফিরে আসবো বার বার। নাহু ছরফ এর ক্লাসে প্রত্যেক এমন ক্লাসে যেখানে যেখানে পারি।

Photo

আলেমা

সাদিয়া বুলবুল

পিতার নামঃ মুহাম্মাদ মঞ্জুরুল আলম

SID: DWFB202324001

মাতার নামঃ ফেরদৌসী আলম

বয়সঃ ৩৭ বছর

ঠিকানাঃ বনশ্রী, ঢাকা, বাংলাদেশ

পাশের সন ২০২৪

পেশাঃ শিক্ষিকা

অনুভূতিঃ আজ থেকে ১৪ বছর আগের কথা, পবিত্র কুরআন এর বাংলা অর্থ পড়ছিলাম সেই প্রথম। কিছু কিছু ঘটনা বুঝলাম কিন্তু অনেক কিছু অস্পষ্ট। ভাই বলল 'দুনিয়ার শুরু থেকে শেষ, সব বিষয়ে কুরআন এ বলা আছে। তার জন্য পবিত্র কুরআন এর ব্যাখ্যা বুঝতে হবে । কিন্তু ব্যাখা নিজে পড়ে বুঝা যায় না। একজন বিজ্ঞ উস্তাদের মাধ্যমে বুঝতে হবে। নিজে পড়ে বুঝার চেষ্টা করলে, অর্থ বিকৃত হয়'। তখনই মনে হল, 'ইশ আমি যদি মাদরাসায় পড়তাম!' দুনিয়াবি কত বিষয় পড়েছি অথচ মহান আল্লহ আমাদের জন্য কি বার্তা পাঠিয়েছেন, তার সব জানিনা। কত মূর্খ! সেই থেকে শুরু দুয়া, আল্লহ যদি মাদরাসায় পড়তে পারতাম! ''আমাকে মাদরাসায় ভর্তি করে দেও', বাসায় এ কথা বলার সাহস পেতাম না। কারণ জেনারেলে পড়ে অনেক খরচ হয়েছে। আবার এই সময়ে নতুন করে বাইরে গিয়ে পড়া শুরু করা সহজ ছিল না। কলেজে পড়ানো শুরু করলাম, তখন এত বুঝ ছিল না। জানতাম পর্দা করেও মেয়েরা জব করতে পারবে। কিন্তু ডিটেলস জানতাম না। এভাবেই অনেক সময় পার হল। আল্লহ আবার সুজোগ দিলেন। জব ছেড়ে দিলাম। আবার সেই মাদরাসায় পড়ার চিন্তা জাগ্রত হল। খুব দুয়া করতাম, অনেক অনেক। কান্না করে দুয়া করতাম। আমার আম্মু বলত, 'আল্লহ ঘরে বসেই তোমাকে মাদরাসায় পড়াবে। আল্লহর কাছে দুয়া কর'। এই কথাটা খুব অবাক লাগত। ঘরে বসে কিভাবে মাদরাসায় পড়ব। তখন অনলাইনে বাংলাদেশে কোন কওমি মাদরাসা ছিল না, আমার জানামতে কোন আলেমা শর্ট কোর্সও ছিল না। তাই এই বিষয়ে ধারনাই ছিল না যে ঘরে বসে আলেমা পড়া যায় অনলাইনে। ২০১৮ সালের রমজান এর সময়, ফেসবুক স্ক্রল করতে গিয়ে একটি গ্রুপ চোখে পড়ল ' ইন্টারনেট মাদরাসা ' ঘরে বসে অনলাইনে সম্পূর্ণ কওমি সিলেবাসে আলেম/আলেমা হওয়ার সুজোগ। কেমন যেন গুরুত্ব দিলাম না। এটা এমনি এমনি ভাবতাম। তার কিছুদিন পর ফ্রেন্ড লিস্টে তৃষা নামে এক আপুর স্টোরিতে মাদরাসার ছবি দেখলাম। এরপর আপুর সাথে কথা বলে জয়েন হলাম। বাট তখন ফরজে আইন কোর্সে জয়েন হয়েছিলাম, তখনও আলেমা কোর্স শুরু হয় নাই । ১০/১২ দিন ক্লাস করার পর, আমাদের উস্তাদ হযরত মাওলানা হাসিবুর রহমান হাফিজাহুল্লাহ ক্লাসে কথা বললেন, আমরা চাইলে এ বছরই আলেমা কোর্স শুরু করবেন। আমার সাথে আরও ১৩/১৪ জন, মানে আমরা ১৪/১৫ জন মিলে খুব অনুরোধ করলাম এবারই যেন আলেমা কোর্স শুরু হয়। উস্তাদ ক্লাস শুরু করলেন.. সেই থেকে শুরু। মহান আল্লহ তায়ালা উস্তাদকে দু'জাহানে কামিয়াব করুন। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লহু আকবার। আজ ৬ বছর চোখের পলকে চলে গেল! আমার এসো আরবি শিখি খাতা , মিযান খাতা আলাদা ছিল। আমি রেগুলার হোম ওয়ার্ক করতাম। সারাদিন পড়তাম। মিযান খাতা অনেক সুন্দর করে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম আরবীতে লিখে এরপর হোম ওয়ার্ক শুরু করতাম। প্রথম দিকে আরবি দেখে লিখতাম। পরে না দেখেই লেখা শিখলাম। টানা দুই সেমিস্টার একদিনও ক্লাস মিস দেই নাই। খাটে কিতাব -খাতা নিয়ে ঘুমাতাম, ঘুম থেকে উঠে আবার পড়তাম। রাতে ঘুমের মধ্যে পড়তাম। পড়তে কম পারব দেখে, খেতে যেতাম না অন্য রুমে। আম্মু এসে খাইয়ে দিত। আমাকে বলত 'ভালো করে পড়, আলেমা পড়া ছাড়বা না। তুমি ভালো করবা'। খুব দুয়া করত আমার জন্য। প্রতি নামাযে দুয়া করত। আম্মু হঠাৎ ইন্তেকাল করলেন। আল্লহ আমার মাকে জান্নাতবাসী করুন। পড়ার অবস্থা নড়বড়ে হতে থাকল। ক্লাসে উস্তাদ নসীহা করতেন অনেক। এত লং টাইম, এই বয়সে সবর করে এক জায়গায় আটকে থাকা কঠিন। পড়া বুঝতাম না। উস্তাদ বলতেন, ’ বুঝলে ভালো, না বুঝলে আরও ভালো। লেগে থাকেন। নিয়মিত ক্লাস করেন, মুতায়ালা করেন, মুজাকারা করেন। এই পড়া সামনে আরও পাবেন। একই বিষয় অনেক আসবে সামনে। লেগে থাকেন, দেখেন কি হয়’। মাদরাসায় খেদমতের সুজোগ হল আল্লহর অসীম দয়ায় এবং উস্তাদের উসিলায়। আলহামদুলিল্লাহ মাদরাসায় খেদমত, ক্লাসের পড়া এরই মাঝে বিয়ে, সংসার, বেবি। অনেক কিছু গ্যাপ হলেও সহপাঠীদের সহযোগিতা ভুলে যাওয়ার নয়। মাকসুদা আপু, আমার অনুপ্রেরণা। চার বাচ্চা নিয়ে ক্লাস করেন, ক্লাস করান, সংসার করেন। আপুকে দেখলে, খুব সাহস পেতাম। যখনই সরে যেতে চাইতাম শয়তানের প্ররোচনায়, আপু বলতেন ’ আপনার আম্মুর স্বপ্ন ছিল আপনি যেন আলেমা হতে পারেন। আপা পড়া ছেড়ে দিয়েন না। লেগে থাকেন’ একই বিষয় কতদিন আপু বলতেন! কতদিন পড়তে কল দিত। যখন বলতাম, তখনই ফ্রি হয়ে যেত আপু। আমি বলতাম আপু রান্না কখন করেন? আপু বলত ’ আপা সব সময় কিতাব সাথে থাকে। রান্না ঘরে প্লেট হাড়ি ধুই, ভর্তা করি আর পড়া দেখি’। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লহু আকবার আমাদের অনলাইন মাদরাসায় আমাদের আরবি গ্রামার যেভাবে শেখানো হয়েছে , অফলাইন মাদরাসায় এভাবে পড়ানো হয় না। অফলাইন মাদরাসায় পড়ে এসে, আমার গ্রামার পড়ানো দেখে আমার ননাশের মেয়ে বলছে, ’মামি আমাদের কিছুই বলে দেয় নাই, শুধু পড়তে বলছে। পড়াও নেয় নাই’। আমার হাসব্যান্ড একবার আমার পড়ানো দেখে বলেছিলেন, ’মাদ্রাসা থেকে ফারেগ অনেকেই এমন গ্রামার বুঝে না’। এটা আমার অহংকার না, আমার মাদরাসার গর্ব, আমরা এভাবেই বেসিক শিখতে পেরেছি,আমাদের উস্তাদের মাধ্যমে, যা আমাদেরদাওরাহ জামাত পর্যন্ত কাজে লাগছে আলহামদুলিল্লাহ। আমরা মেশকাত জামাত, দাওরাহ জামাতে এমন উস্তাদদের থেকে দারস নিতে পেরেছি, যা অফলাইন মাদরাসায়ও অনেকে এই সুজোগ পায় না। আমাদের উস্তাদগন হযরত মাওলানা লিয়াকত আলী হাফিজাহুল্লাহ উস্তাদ হযরত মাওলানা মহিউদ্দীন কাসেমী হাফিজাহুল্লাহ হুজুর হযরত মাওলানা তৌহিদুল ইসলাম মিশরী হাফিজাহুল্লাহ হুজুরের নসিহত প্রতি দারসে অতুলনীয়। হযরত মাওলানা আসাদুজ্জামান হাফিজাহুল্লাহ হযরত মাওলানা আব্দুল্লাহ সন্দীপ উস্তাদ হযরত মাওলানা শুয়াইব নাদভী হাফিজাহুল্লাহ, সবাই যার যার দারসে অতুলনীয় ছিলেন। - আমার হাসব্যান্ড মাঝে মাঝে যখন ওনাদের পড়ানো শুনতেন, আমাকে বলতেন ক্লাস করতে। উস্তাদগনের হক আদায় করতে পারিনি ঠিকঠাক কিন্তু ওনারা নিরলস পরিশ্রম করেছেন আমাদের জন্য। আমাদের মাদরাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা হাসিবুর রহমান হাফিজাহুল্লাহ হুজুরের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ আমাদের জন্য অনলাইনে এমন সুজোগ করে দেয়ার জন্য। আল্লহর কাছে আমাদের সকল উস্তাদগনের দীর্ঘায়ু কামনা করি। আল্লহ আপনাদের দুনিয়া এবং আখিরাতের কল্যান দান করুন। আপনাদের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষা যেন জীবনে কাজে লাগাতে পারি দুয়া করবেন আমাদের জন্য। আমাদের মাদ্রাসার মুহতামিম উস্তাদের নিকট আবেদন, হুজুর এই মাদরাসা থেকে বিদায় হতে চাইনা। জামাতের শেষ বর্ষ হলেও, আবার মাদরাসায় উস্তাদের দারস শুনতে চাই, আবার পড়তে চাই ইন শা আল্লহ। মৃত্যু পর্যন্ত মাদরাসার সাথে লেগে থাকতে চাই। যারা এই লেখা পড়বেন, আমার মায়ের জন্য দুয়া করবেন প্লিজ। যাদের মা আছে, মায়ের থেকে দুয়া নিবেন। আল্লহর শুকরিয়া আদায় করি, আমাকে এই লেখার তৌফিক দানের জন্য।

Photo

আলেমা

সুরুক সায়্যিদা

পিতার নামঃ নুরুল ইসলাম

SID: DWFA202324005

মাতার নামঃ মনোয়ার বেগম

বয়সঃ ২৪ বছর

ঠিকানাঃ গাজীপুর, বাংলাদেশ

পাশের সন ২০২৪

পেশাঃ গৃহিণী

অনুভূতিঃ কিছু অনুভূতি যা প্রকাশ করার জন্য শব্দযুগল খুজে পাওয়া যায় না। ইন্টারনেট মাদ্রাসা নিয়ে আমার অনুভূতি ঠিক তেমন। আল্লাহ র দেয়া জীবনে বড় নিয়ামত গুলোর একটি এই মাদ্রাসা। অনলাইনে ও কওমী মাদ্রাসার নিসাব পড়া যায় এটা এই মাদ্রাসা ই দেখিয়েছে। যেখানে সবাই বলেছে অনলাইনে কওমী মাদ্রাসা সম্ভব না। সেখানে আমার প্রাণপ্রিয় উস্তায হযরত মাওলানা হাসিবুর রহমান হাফিজাহুল্লাহ আল্লাহ র উপর তাওয়াক্কুল রেখে চালিয়ে যাচ্ছেন। যা সবার নিকট অসম্ভব ছিল তিনি তা করে দেখিয়েছেন। মানুষ অন্তর থেকে চাইলে আল্লাহ ও যে তা সহজ করে দেন তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ আমার উস্তাজ। যেখানে সবাই বলেছে, অনলাইনে সর্বোচ্চ নাহবেমীর পর্যন্ত হতে পারে, সেখানে আমার উস্তাজ সবার ধারণা কে ভুল দেখিয়ে অনলাইনে দাওরা জামাত পর্যন্ত চালিয়েছেন। এতটুকুর পিছনে আমার উস্তাজের কত নির্ঘুম রজনী ছিল, কত রাতের দোয়া, কত কান্না ছিল,তার হিসেব আল্লাহ রেখেছেন। উস্তাজ এর দোয়া, কঠোর পরিশ্রম, সবর এর ফল আজ কের এই মাদ্রাসা। প্রথম ব্যাচ এর কমতি গুলো খুজে, আরও কিভাবে ছাত্রছাত্রীদের পারদর্শী করা যায় তা নিয়ে কাজ করেছেন। কিতাব গুলো থেকে আরও কিভাবে ফায়দা হাসিল করা যায়, আরও কিভাবে সহজে উপস্থাপন করা যায় তা নিয়ে আমার উস্তাজ রাতের পর রাত গবেষণা করে গিয়েছেন।। আমাদের মাদ্রাসায় বর্তমান সিস্টেম টা এত টা ই সুন্দর যে কেও খুব সহজে ই দক্ষ হয়ে উঠবে। আমি বিশ্বাস করি, যারা নতুন সিলেবাসে পড়ছে তারা বেফাকে খুব ই ভাল রেজাল্ট করবে। মানুষ এর সবচেয়ে প্রিয় জিনিস যেমন মানুষ হারাতে চায় না, তেমনি আমি ও চাইনা আল্লাহ গুনাহ এর জন্য আমার জীবন থেকে মাদ্রাসা কে নিয়ে যাক। আল্লাহ এই মাদ্রাসা কে কিয়ামত পর্যন্ত কায়েম রাখেন। আমীন

Photo

আলেম

মুহাম্মদ ইয়াছিন ফারুকী

পিতার নামঃ ছৈয়দ আলম

SID: DWMA202324004

মাতার নামঃ বুলু আক্তার

বয়সঃ ২৪ বছর

ঠিকানাঃ লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ

পাশের সন ২০২৪

পেশাঃ ছাত্র ও খতিব

অনুভূতিঃ তালিমুল কুরআন ওয়াস-সুন্নাহ ইন্টারনেট মাদ্রাসার শুরু থেকেই আমি নগণ্য ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে তালিবুল ইলম হিসেবে যুক্ত রাখার জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে অফুরন্ত শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ! এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, আমার সবচেয়ে মুহসীন উস্তায হযরত মাওলানা হাসিবুর রহমান সাহেব হাফিজাহুল্লাহ ও আমার মুকুট অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল আসাতিজায়ে কিরামের প্রতি। সত্যি কথা বলতে দারুণ এক অনুভূতি নিয়ে আজ কিছু কথা লিখছি। আসলে সময় গুলো খুব দ্রুত শেষ হয়ে গেলো কোন টের ই পাইনি। প্রথম কয়েক জামাতে পড়ার সময় ভাবতাম- পড়ার এই ধাপ গুলো কখন শেষ হবে? আর এখন ইচ্ছে হচ্ছে- যদি ছাত্র হয়েই এখানে আজীবন কাটিয়ে দিতে পারতাম! জানি, এটা বাস্তবতার অমিল। আমাকেও নিয়ম অনুযায়ী এগিয়ে যেতে হবে। তবে, এই প্রতিষ্ঠান যেভাবে আমাকে আমার রবকে চিনিয়েছে, আমাকে দুনিয়াতে পাঠানোর উদ্দেশ্য বুঝিয়েছে, কুরআন-হাদিসের নির্ভরযোগ্য ইলম উপহার দিয়েছে তা আমার ক্ষেত্রে অন্য কোন প্রতিষ্ঠান দিতে পারে নি। তাই, এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমার আন্তরিক অনুভূতি শাব্দিক বর্ণনা অযোগ্য। আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন, আমার হৃদয়ের কতোটুকু স্থান এই মাদ্রাসা দখল করে নিয়েছে। আমি আগে দ্বীনি ইলমের মিযানে একজন মুর্খ ছিলাম। অতঃপর আল্লাহ তাআলা অত্র মাদ্রাসার উসীলায় আমাকে দ্বীনি ইলমের নিয়ামত দিয়ে ধন্য করেছেন। বর্তমানে আমিও দ্বীনি খেদমতের নিয়্যাতে খতিবের দায়িত্ব পালন করে দ্বীন প্রচার করার সুযোগ পাচ্ছি, আলহামদুলিল্লাহ! এটা আমার জন্য অনেক বড়ো পাওয়া। আমি আল্লাহ তাআলার দরবারে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা জানাচ্ছি যে, তিনি যেনো এই মাদ্রাসা কিয়ামত পর্যন্ত তাঁর মাকবুল প্রতিষ্ঠান হিসেবে জারি রাখেন এবং এই মাদ্রাসার সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে ইখলাসের সাথে জ্ঞান বিতরণ-অর্জনের সর্বোত্তম তাওফীক দান করেন। আল্লাহুম্মা আমীন।

Photo

আলেমা

মাহমুদা আক্তার আসমা

পিতার নামঃ মোঃ আব্দুল আলীম

SID: DWFA202324011

মাতার নামঃ সাহিদা

বয়সঃ ২২ বছর

ঠিকানাঃ পূর্ব রামপুরা, ঢাকা, বাংলাদেশ

পাশের সন ২০২৪

পেশাঃ গৃহিণী

অনুভূতিঃ এএই মাদ্রাসার খোঁজ পাওয়া  আমার জীবনে একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন । আসলে এই মাদ্রাসার সাথে আমার পরিচয় না হলে আমার ইলম অর্জন এর রাস্তা সম্পুর্ন বন্ধ হয়ে যেত। আমি মনে করি আমার মত হাজারো বিবাহিত জ্ঞান পিপাসিত মেয়েদের স্বপ্নের মাদ্রাসা এটি। এই মাদ্রাসার সাথে যুক্ত না হলে কেউ কল্পনাও করতে পারবে না যে এটা কত ভাল প্রতিষ্ঠান। এই মাদ্রাসার উস্তাযগন কতটা উদার মনে অক্লান্ত পরিশ্রমের সাথে খেদমত করেন। কত জ্ঞান পিপাসুদের পিপাসা নিবারনের স্থান এই প্রতিষ্ঠান তা কেবল যারা যুক্ত হোন তারাই বুজতে পারেন। এত ভালো ভালো  উস্তাযদের ক্লাস করার সময় শুধু বার বার এই কথাই মনে হয় যে, আল্লাহ তা'য়ালা আমার ভাগ্য অনেক ভাল করেছেন বলেই বুজি আমাকে এমন প্রতিষ্ঠান এর সাথে  যুক্ত করেছেন।আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ তা'য়ালা এই মাদ্রাসাকে অনেক বরকত দান করুন।এবং কবুল করুন এই দুয়া সব সময় করি। আমীন আর আমার জন্যও সব সময় সকল কল্যাণের জন্য দোয়া চাই।

Photo

আলেমা

আইশা সিদ্দিকাহ

পিতার নামঃ আব্দুল্লাহ

SID: DWFA202324014

মাতার নামঃ সাহিদা আক্তার

বয়সঃ ৩১ বছর

ঠিকানাঃ টাংগাইল, ঢাকা, বাংলাদেশ

পাশের সন ২০২৪

পেশাঃ গৃহিণী

অনুভূতিঃ এই মাদ্রাসায় লেগে থেকে আমি যা পেয়েছি তা বলে এবংলেখে শেষ করতে পারব না।তুবও সামন‍্য কিছু লেখতে চাই আমার সব সময় মনে হয় এই মাদ্রাসা একটা জান্নাতের বাগান এখানে লেগে থেকে এত শান্তি খুজে পাইছি যা অন‍্য কোথাও খুজে পাই নাই। সব সময় মনে হইছে আমার ঘরের ভিতরই মাদ্রাসা যার নিয়ম অনুসারে সব সময় পরাশুনা আমল নামায এসব করা হত।শুধু আমি না আমাদের পরিবারের সবাই প্রাইএই মাদ্রাসার সাথে যুক্ত এবং আত্তিয় সজন সবাইকে এখানে আসার আহব্বান করি। আজিবন এখানেই লেগে থাকতে চাই পি,,, উস্তাদ ,আমাদের এখানেই থাকার সোযোগ করে দিবেন।আল্লাহর অশেস রহমতে ওনেক বর বর উস্তাদের পরা শুনার ভগ‍্য হইছে।সব উস্দাত এর কাছে দোয়া চাই সব সময় যেন আল্লাহ ওয়ালাদের নসিহতের মদ‍্য দিয়েন থাকতে পারি।

Chat on WhatsApp